অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভারতের ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলায় জোর করে ধর্মান্তরকরণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ জনতা একটি গির্জায় ভাঙচুর চালিয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার) হিন্দি গণমাধ্যম দৈনিক ভাস্কর সূত্রে প্রকাশ- শনিবার রাতে বিবাদ শুরু হয়। ধর্মান্তরের অভিযোগের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু লোক অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে গোররা গ্রামে প্রবেশ করে। এখানে এই লোকেরা গ্রামের মানুষজনকে মারধর করে। গ্রামবাসীর ভিড় জমে গেলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এর পর গত (রোববারও) দুই পক্ষের মধ্যে মারপিট হয়। আদিবাসী সমাজ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ তুলেছে। ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল (সোমবার) আদিবাসী সমাজের পক্ষ থেকে একটি বৈঠক ডাকা হয়। রোববার অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপজাতি সম্প্রদায় ও অন্য গোষ্ঠীর লোকজন লাঠিসোঁটা ও রড নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আন্দকা থানার পুলিশ। সেখানেও জনতা হিংস্র হয়ে ওঠে এবং আন্দকা থানার টিআই তুলেশ্বর যোশীকে আক্রমণ করে। হামলায় টিআই আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, শনিবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আদিবাসী সম্প্রদায় গতকাল (সোমবার) নারায়ণপুর বনধ ডেকেছিল। একই সঙ্গে বিক্ষভের প্রস্তুতিও ছিল। এ কারণে নারায়ণপুরে বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়। এসময়ে কিছু লোক ফের উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
নারায়ণপুর জেলা সদরে শান্তি নগর অবস্থিত। এই এলাকায় বেশির ভাগ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। গ্রামবাসীর ভিড় এই এলাকায় ঢুকে পড়ে। পুলিশের আইজি সুন্দররাজ পি সহ ৪ জন ‘আইপিএস’ কর্মকর্তা বিক্ষুব্ধ মানুষকে শান্ত করতে সেখানে পৌঁছেছিলেন। কোন্ডাগাঁও থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্সও ডাকা হয়। পুলিশ সুপার সদানন্দ কুমার বলেন, আদিবাসী সমাজের লোকজন বৈঠক ডেকেছিল। তাতে আমরা সবাই কালেক্টরের চেম্বারে তাদের নেতাদের সঙ্গে কথাও বলছিলাম, কিন্তু সেই সময় কিছু লোক গির্জা ভাঙচুর করতে যায়। বিষয়টি জানার পর সেখানে গেলে আমার ওপর হামলা হয়। ওই ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply